সদস্যপদ লাভের যোগ্যতা ও নিয়ম
সদস্যপদ লাভে আগ্রহী ব্যক্তি
• যিনি জন্ম সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক
• যিনি ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত ভর্তি ফি, মাসিক চাঁদা ও ধার্য্যকৃত অন্যান্য চাঁদা প্রদানে সম্মত থাকিবে।
• তাহার বয়স কমপক্ষে ১৮ (আঠার) বছর পূর্ণ হইতে হইবে।
• তাহাকে অবশ্যই সংগঠনের কল্যাণে কাজ করার জন্য উৎসাহিত হইতে হইবে এবং গঠণতন্ত্র মানিয়া চলিতে হইবে।
• তাহাকে সুস্থ মন-মানসিকতার অধিকারী হইতে হইবে। পাগল ও চরিত্রবিহীনকে সদস্য পদ দেয়া হইবে না।
• কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সদস্য পদ প্রদান করা হইবে।
• সদস্য কে অবশ্যই স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হতে হবে।
সদস্য পদ পাওয়ার জন্য প্রার্থীর সদ্য তোলা ০১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙ্গিন ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের (০১) এক কপি সদস্য ফরমের সাথে সংযুক্ত করিয়া ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করিতে হইবে।
এই সংগঠনের ০৪ (চার) প্রকার সদস্য পদ থাকিবে।
যথা:
(০১) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
(০২) আজীবন সদস্য
(০৩) দাতা সদস্য
(০৪) সাধারণ সদস্য
প্রতিষ্ঠাতা সদস্যঃ
সংগঠন প্রতিষ্ঠাকালে যারা ছিলেন তারাই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে গন্য হবেন,সংগঠনের সকল সিদ্ধান্তে তাদের অগ্রনী ভুমিকা থাকবে এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগনের নিদিষ্ট কোন চাঁদা না থাকলেও কোন ভাবেই সাধারণ সদস্যদের সমপরিমাণ চাঁদার নিচে নামা যাবে না। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদান করিতে পারিবেন।
আজীবন সদস্য:
যেকোন দানশীল ও সমাজ সেবী ব্যক্তি সংস্থার কল্যাণে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এবং গঠনতন্ত্র মানিয়া সদস্য ভর্তি ফি ১০০/- (একশত) টাকা ও এককালীন কমপক্ষে ২০,০০০/- (কুঁড়ি হাজার) টাকা বা তৎসম পরিমাণ অর্থ/সম্পদ প্রদান করিবেন, কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে তাহাকে/তাহাদিগকে আজীবন সদস্য পদ দান করা যাইবে। আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদানের অধিকার ছাড়া সকল কাজে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।
দাতা সদস্য:
সংগঠনের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রসারের জন্য সদস্য ভর্তি ফি ১০০/- (একশত) টাকা ও কমপক্ষে বার্ষিক ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা বা সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে দাতা সদস্যপদে অন্তর্ভূক্ত হতে পারিবেন। দাতা সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদানের অধিকার ছাড়া সকল কাজে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।
সাধারণ সদস্য:
দেশের যেকোন এলাকার যে সকল ব্যক্তি অত্র সংগঠনের কল্যাণে কাজ করিতে উৎসাহিত হইয়া এবং গঠণতন্ত্র মানিয়া নিয়মিত বার্ষিক ও অন্যান্য চাঁদা প্রদান করিবেন এবং নির্ধারিত আবেদন করিবেন তিনি/তাহাকে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সাধারণ সদস্য হিসেবে গণ্য করা হইবে। সাধারণ সদস্য ভর্তি ফি ১০০/- (একশত) টাকা ও বার্ষিক চাঁদা ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা। সাধারণ সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ও ভোটদানে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।
কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ভর্তি ফি ও সকল চাঁদার হার হ্রাস/বৃদ্ধি করা যাইবে।
সদস্য পদ বাতিলঃ
ক) কোন সদস্য একাধারে ০২ (দুই) বছরের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ না করিলে।
খ) প্রতিষ্ঠানের কাজে পর পর ৬ (ছয়) মাস নিষ্ক্রিয় ও অকর্মন্য হয়ে পড়লে।
গ) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কিংবা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ প্রমাণিত হলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।
ঘ) সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।
ঙ) সকল ক্ষেত্রেই কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতি/ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
চ)কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে এবং তা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে।
ছ)মৃত্যু হলে বা আদালতে নৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হলে।
জ) প্রাসঙ্গিক বা অনিবার্য কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের কার্যনির্বাহী এবং উপদেষ্টা পরিষদ সংরক্ষণ করবেন।
ঝ) গ্রহণযোগ্য কারন ছাড়া পর পর ৩টি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত না থাকলে।
ঞ)সংস্থার মূল্যবান রেকর্ডপত্র স্বেচ্ছাচারীভাবে কুক্ষিগত করে সংস্থার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে।
ট) সদস্যের স্বভাব, আচরন, মনোবৃত্তি ও কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী হলে।
ঠ)পাগল ও উম্মাদ প্রমানিত হলে।
ড)আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হলে।
ঢ) মস্তিষ্ক বিকৃতি ও নৈতিক স্খলনের কারনে ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দন্ডিত হলে।
ণ) সদস্যের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে।
ত)তহবিল তছরুপ করলে এবং অবৈধ চাঁদাবাজি করলে।
ত)গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করলে এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারী হলে।
দ) সংস্থার পক্ষ হয়ে সংস্থার বিষয়ে কোন সদস্য পত্র-পত্রিকায়, সভা-সমিতি, সেমিনারে বিবৃতি প্রদানের পূর্বে কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতি গ্রহন না করলে।
ধ) সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলে।
ন) সংস্থার নামে কোন সদস্য গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ও অবৈধভাবে চাঁদাবাজি ও জনগণের কাছ থেকে ডোনেশন/ অনুদান গ্রহন করলে।
প) সংস্থার কার্য এলাকা পরিত্যাগ করলে।
