Constitution

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

 ১ম ভাগঃ সংগঠনের সূচিপত্র

[  ] অনুচ্ছেদ – ১-সংগঠনের নাম ও স্লোগানঃ
[  ] অনুচ্ছেদ – ২- সংগঠনের ধরণ এবং বৈশিষ্ট্যঃ
[  ]  অনুচ্ছেদ – ৩ -সংগঠনের কার্যালয়।
[  ] অনুচ্ছেদ-৪- কার্য এলাকা।
[  ]  অনুচ্ছেদ-৫- সংগঠনের লোগো/মনোগ্রামের বিবরণ।
[  ] অনুচ্ছেদ-৬- লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
[  ]  অনুচ্ছেদ – ৭ -ভিশন।
[  ]  অনুচ্ছেদ – ৮- সদস্যপদ লাভের যোগ্যতা ও নিয়ম
[  ] অনুচ্ছেদ – ৯-সদস্য পদের শ্রেণী বিভাগ।
[  ] অনুচ্ছেদ – ১০- সদস্য পদ বাতিল।
[  ] অনুচ্ছেদ-১১-পদ হতে ইস্তফা
[  ] অনুচ্ছেদ-১২-সদস্যদের অধিকার।
[  ] অনুচ্ছেদ – ১৩-শূণ্য পদ পূরণ ও সদস্য পদ পুনঃবহাল।
[  ] অনুচ্ছেদ – ১৪-সাংগঠনিক কাঠামো।
[  ] অনুচ্ছেদ ১৫-কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামো।
[  ]  অনুচ্ছেদ – ১৬-কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা।
[  ] অনুচ্ছেদ – ১৭-উপ কমিটি গঠন।
[  ]  অনুচ্ছেদ -১৮- এডহক কমিটি।
[  ] অনুচ্ছেদ -১৯- নিয়োগ পদ্ধতি।
[  ] অনুচ্ছেদ-২০- সংগঠনের তহবিল সংক্রান্ত বিষয়াবলী।
[  ] অনুচ্ছেদ-২১-আর্থিক ব্যবস্থাপনা।
[  ]  অনুচ্ছেদ -২২- বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান বিষয়ক।
[  ] অনুচ্ছেদ – ২৩-ঋণ পরিশোধ।
[  ]  অনুচ্ছেদ – ২৪- অডিট।
[  ] অনুচ্ছেদ-২৫- বিবিধ।
[  ]  অনুচ্ছেদ-২৬-বিভিন্ন প্রকার সভা ও সভার নিয়মাবলী।
[  ] অনুচ্ছেদ-২৭- নির্বাচন পদ্ধতি।
[  ]  অনুচ্ছেদ-২৮-নির্বাচন কমিশন।
[  ] অনুচ্ছেদ-২৯-ভোটের প্রনালী।
[  ]  অনুচ্ছেদ-৩০-বিবিধ।
[  ]  অনুচ্ছেদ-৩১-গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিমার্জন এবং সংযোজন।
[  ] অনুচ্ছেদ-৩২-বিধি ও আইনের প্রাধান্য।
[  ] অনুচ্ছেদ-৩৩-সংস্থার বিলুপ্তি।

২য় ভাগঃ সংগঠনের পরিচিতি

[  ] ভূমিকাঃ

“আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে একদল নিরবিচ্ছিন্ন মানুষ একই ছায়াতলে এসে মানবতার সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগের উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হয়। এরই ধারাবাহিকতার প্রয়াস আমাদের এই ফাউন্ডেশন। এই সংগঠনের প্রাণশক্তি হলো অদম্য।

সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করিয়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগীতা নিয়ে রাষ্ট্রীয় বিধি বিধানের সাথে সংগতি রেখে ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর “আলোক কুঞ্জ ফাউন্ডেশন বিডি” নামে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

[  ] অনুচ্ছেদ – ১
[  ] সংগঠনের নাম ও স্লোগানঃ

এই সংগঠনে বাংলা নাম “আলোক কুঞ্জ ফাউন্ডেশন বিডি ” ও ইংরেজিতে ” Alok Kunjo Foundation BD (সংক্ষেপে AKFbd)’নামে অভিহিত হবে। সংগঠনের স্লোগান  “আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে”।

[  ] অনুচ্ছেদ – ২
[  ]  সংগঠনের ধরণ এবং বৈশিষ্ট্যঃ

ইহা একটি সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক, অরাজনৈতিক,অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক এবং জনকল্যাণমুখী সংগঠন। ভবিৎষ্যতে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা, ১৯৬২ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিবন্ধন করা হবে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল বিধিবিধান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করা হবে।

[  ] অনুচ্ছেদ – ৩
[  ] সংগঠনের কার্যালয়।

ক. প্রধান কার্যালয়ঃ কার্যালয়ঃ বাড়ী নং ০১,রোড নং ০৯,ডি ব্লক,মিরপুর ১,ঢাকা।

খ. তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে ঢাকা সিটির মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যলয়ের স্থান পরিবর্তন করতে পারবে।

গ. পরবর্তীতে সংগঠনের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা সাপেক্ষে যে কোন জেলায় সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে সংগঠনের শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে । তবে এক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদের কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্য একমত হতে হবে।অন্যথায় উপদেষ্টা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-৪ঃ
[  ] কার্য এলাকা।

সমগ্র বাংলাদেশে এই সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হইবে। সমাজসেবা অধিদপ্তর/যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশের বাহিরে ও এই সংগঠনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হইবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-৫
[  ] সংগঠনের লোগো/মনোগ্রামের বিবরণঃ

সংগঠনের নিজস্ব লগো/মনোগ্রাম রয়েছে

[  ] অনুচ্ছেদ-৬
[  ] লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের আত্মসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন,এতিম,অসহায়, গরিব দুস্থ, মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও যুগ উপযোগী কর্মস্থান তৈরী, ঐতিহ্যবাহী ভাষা, সাহিত্য- সংষ্কৃতি লালন, পরিবেশ ও মানবাধিকার সংরক্ষন করার একটি তৃণমূল আন্দোলন সৃষ্টি করে দেশ ও মানুষের সেবার আস্থা অজর্ন।

১। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের আত্মসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন স্থাপনা সংরক্ষণ,উন্নয়ন বিমুখতা প্রতিহত করন, বাজেট পর্যালোচনা করন, উন্নয়ন সম্ভাবনা চিহ্নিত করে রিপোট পেশ ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করন, সর্বোপরি তৃণমূল উন্নয়ন আন্দোলন।

২।  প্রতিবন্ধী,এতিম ও পথশিশুদের নিয়ে কাজ করবে।

৩।  অনাথ শিশুদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র ও শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করা ও বৃদ্ধদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম স্থাপন করা একটি অন্যতম উদ্দেশ্য ।

৪। সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিনোদন ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করা ও এইসব বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতা করা ও বিজয়ীদের পুরুষ্কার প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করা।

৫।  সমাজের গুণীজনদের সংবর্ধিত করবে।

৬। রক্ত দান কর্মসূচী ও মুমূর্ষু রোগীদের রক্ত পাওয়ার জন্য সহোযোগিতা করা ।

৭। প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রতিরোধ, ত্রাণ, ও পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সহায়তা করা ।

৮। অসহায় মানুষের বিনামূল্যে বস্ত্র,  ঈদ সামগ্রী প্রদান, আর্থিক সহায়তা প্রদান,  বিনামূল্যে প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধা প্রদান । সামাজিক উন্নয়নে সার্বিক সহায়তা প্রদান ।

৯। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে বিভিন্ন ধরবেন সুশৃংখল বিনোদনের আয়োজন করা ।

১০। দেশ-বিদেশে বসবাসরত আলোক কুঞ্জের সুধীজনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সংযোগ করা।

১১। পরস্পর অভিন্ন বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতা। সকলের মধ্যে  ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি, সুদৃঢ় ঐক্য স্থাপনের  মাধ্যমে সবার সাথে সম্প্রীতি।

১২। সদস্যদের জন্য ঈদ পুনর্মিলনী, সমাবেশ, সেমিনার, গেট টুগেদার, প্রদর্শনী, ক্রীড়া , সাংস্কৃতি  এবং অন্যান্য সামাজিক কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান আয়োজন করা।

১৩। গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বই পুস্তক শিক্ষা উপকরণ সহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

১৪।  অবৈধ নারী ব্যবসা, নারী ও শিশু পাচারকারী, অপহরণকারী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ সংগঠন আইনী সহায়তাসহ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন।

১৫।  কৃষি ক্ষেত্রে জন সাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণ, উৎসাহ প্রদান এবং এর মাধ্যমে উন্নত পদ্ধতিতে ফলন বৃদ্ধি করতে কৃষকদের শিক্ষার মাধ্যমে যুগোপযোগী কৃষক হিসাবে গড়ে তোলা এবং প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ, বীজ, সার ঔষধ ইত্যাদি সহজে এবং সুলভ মূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং ছোট বড় হিমাগার প্রতিষ্ঠা করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করা এবং প্রদর্শনী খামার তৈরী করা। মৌমাছি পালন, রেশম পোকা পালন, হাঁস-মুরগী, মৎস, ছাগল ও গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করা এবং এ সম্বন্ধে বেকার যুবক- যুব মহিলা ও সংশ্লিষ্ট চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। মৎস্য ও গবাদী পশু পালন জাতীয় খামার পরিচালনা করা। যাবতীয় কৃষি কর্মে প্রয়োজনে সরকারী খাস জমি লীজ গ্রহণ, ক্রয় বা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তা গ্রহণ করা হবে।

১৬।  দারিদ্র বিমোচন সম্পর্কিত কর্মসূচীর আওতায় দুঃস্থ ভূমিহীন, বিত্তহীন গৃহহীন এবং নিম্ন আয়ের জনগণ এর জন্য কর্মসূচী গ্রহণ। শিক্ষিত বেকার অবহেলিত যুবক-যুব মহিলা, বিধবা মহিলাদের প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ।

১৭।  জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদকদ্রব্য ও ধুমপান বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন দিবস পালনার্থে সভা-সমাবেশ, সেমিনার, র‌্যালী সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা। ধুমপান ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য বর্জন করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ, ইভটিজিং, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বিবাহ নিবন্ধন (কাবিন কার্যক্রমে সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ), ঝড়, মহামারী ইত্যাদির কারণে দূর্গত মানুষের সেবা ও পুর্ণবাসন কর্মসূচী গ্রহণ। সমাজের অন্ধত্ব ও গোঁড়ামি, সমাজের কুসংস্কার ও নির্যাতন এবং সামাজিক অপরাধমূলক প্রবনতা রোধ করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনসাধারণ কে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা প্রদান করা। বেওয়ারিশ লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা।

১৮। মানব সম্পদ উন্নয়নে সামগ্রীক কার্যক্রম গ্রহণ করে দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানোর জন্য এবং শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা, কম্পিউটার ও ডাটা এন্ট্রি ফার্ম, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ফার্ম প্রতিষ্ঠা করা।

১৯।  ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পর্কিত কর্মসূচির আওতায় শিল্প স্থাপন ও সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, মহিলাদের দেশী বিদেশী রান্নার প্রশিক্ষণ, নকশী কাঁথা বুনন, কাঁথা সেলাই,ব্লক-বাটিক ও বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ প্রশিক্ষণ প্রদান।

২০।  কার্যক্রমের সুবিধার্থে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে কার্যক্রম পরিচালনা। সরকারী ও বেসরকারী সকল সংস্থার সাথে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সম্পর্ক স্থাপন এবং জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে অন্যান্য সংস্থার সাথে যোগাযোগ স্থাপন (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে)।

২১। ক্যানসার, এইচ, আই, ভি, এইডস, প্লেগ, হেপাটাইটিস-বি, ভাইরাস, সার্স ইত্যাদি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে পরিকল্পিত ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ সংক্রান্ত রোগীদের চিকিৎকার ব্যবস্থা করা।

২২। আর্সেনিক ও অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যমুক্ত বিশুদ্ধ পানি পানে উদ্বুদ্ধকরণ ও এর প্রতিরোধ কর্মসূচী গ্রহণ করা। পানিতে মানব দেহের জন্য আর্সেনিকের ক্ষতিকর মাত্রা নিরূপন করে সে সব এলাকা ও নলকূপ চিহ্নিত করা।

২৩।  সংগঠনের স্বার্থে ও কৃষি সহ জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রয়োজনে সরকারী খাস জমি, অর্পিত সম্পত্তি, ওয়াক্ফ সম্পত্তি লীজ গ্রহণ, ক্রয় বা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রহণ করা হবে।

২৪।  পুস্তিকা, সংবাদ সাময়িকী, পোষ্টার, ব্যানার, কার্ড, ক্যালেন্ডার এবং বিভিন্ন গন মাধ্যমে কার্যক্রম প্রকাশ এবং প্রচার করা। সমাজের উন্নয়ন, অপর্কম, ধর্ম ও বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণে বার্তা সংস্থা, টিভি চ্যানেল দৈনিক পত্রিকা, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক হিসাবে দেশের প্রচলিত নিয়মে সমগ্র দেশব্যাপী অথবা জেলা ভিত্তিক, আর্ন্তজাতিক ভাবে প্রকাশনা, পরিচালনা করতে পারবে এবং প্রচার মাধ্যমে অর্থাৎ জাতীয় আর্ন্তজাতিক ভাবে প্রকাশনা, পরিচালনা করতে পারবে অর্থাৎ জাতীয় আর্ন্তজাতিক বেতার (রেডিও) সরকারী ও বেসরকারী টিভি চ্যানেলে প্রচার করতে পারবে। প্রজাতন্ত্রের স্বার্থে সরকারের পাশাপাশি সমাজের যে কোন ধরনের অপরাধ-অপকর্ম ও অনিয়মের স্থির চিত্র, ভিডিও চিত্র ধারণ পূর্বক স্বাক্ষী হিসেবে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন এবং জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন করতে পারবে।

২৫।  অন্ধ পূর্ণবাসন, বয়স্ক পূর্ণবাসন, কারামুক্ত ও কয়েদী মানসিক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ পরিকল্পনাসহ সমাজের উন্নয়নমূলক যে কোন পরিকল্পনা এই প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করবে।

উপরে উল্লেখিত উদ্দেশ্য ছাড়াও সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে সংগঠনের উন্নয়ন কল্পে জাতীয় পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ন সময়োপযোগী সমন্বিত ও সম্পূরক কর্মসূচী গ্রহন করা হবে। যেমন-
• বেকারত্ব দূরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি।
• মোটিভেশনাল ক্লাসের ব্যবস্থা।
• প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা (সনদ সহ)।
• ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা।
• প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ন।
• চাকরি তথ্য সহযোগিতা।
• যুব ছাত্রদের টিউশনি ও লজিংয়ের ব্যবস্থা করা।
• সব ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক দিবস পালন করা।
• বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে- অংশগ্রহণ করা।
• আমাদের সদস্যদের মধ্যে সমবায় মূলক কর্মকান্ড গড়ে তোলা।
• বিনোদনমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা।
• যুবকদের সমাজ সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করা।
• অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।

[  ] অনুচ্ছেদ – ৭
[  ] ভিশনঃ

যুব সমাজকে নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষার দিকে অগ্রসর করে এবং সমাজসেবামূলক কাজে উৎসাহ যোগিয়ে মাদক মুক্ত ও বেকার মুক্ত দেশ গড়ে এতিম,দুস্থ,অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নীতি নৈতিকতা সৃষ্টি করা।

৩য় ভাগঃ সদস্যপদ সংক্রান্ত

[  ] অনুচ্ছেদ – ৮
[  ] সদস্যপদ লাভের যোগ্যতা ও নিয়মঃ

সদস্যপদ লাভে আগ্রহী ব্যক্তি

• যিনি জন্ম সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক
• যিনি ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত ভর্তি ফি, মাসিক চাঁদা ও ধার্য্যকৃত অন্যান্য চাঁদা প্রদানে সম্মত থাকিবে।
• তাহার বয়স কমপক্ষে ১৮ (আঠার) বছর পূর্ণ হইতে হইবে।
• তাহাকে অবশ্যই সংগঠনের কল্যাণে কাজ করার জন্য উৎসাহিত হইতে হইবে এবং গঠণতন্ত্র মানিয়া চলিতে হইবে।
• তাহাকে সুস্থ মন-মানসিকতার অধিকারী হইতে হইবে। পাগল ও চরিত্রবিহীনকে সদস্য পদ দেয়া হইবে না।
• কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সদস্য পদ প্রদান করা হইবে।
• সদস্য কে অবশ্যই স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হতে হবে।

সদস্য পদ পাওয়ার জন্য প্রার্থীর সদ্য তোলা ০১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙ্গিন ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের (০১) এক কপি সদস্য ফরমের সাথে সংযুক্ত করিয়া ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করিতে হইবে।

[  ] অনুচ্ছেদ – ৯
[  ] সদস্য পদের শ্রেণী বিভাগঃ

এই সংগঠনের ০৪ (চার) প্রকার সদস্য পদ থাকিবে। যথা:

(০১) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

(০২) আজীবন সদস্য

(০৩) দাতা সদস্য

(০৪) সাধারণ সদস্য

৯.১ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যঃ

সংগঠন প্রতিষ্ঠাকালে যারা ছিলেন তারাই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে গন্য হবেন,সংগঠনের সকল সিদ্ধান্তে তাদের অগ্রনী ভুমিকা থাকবে এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগনের নিদিষ্ট কোন চাঁদা না থাকলেও কোন ভাবেই সাধারণ সদস্যদের সমপরিমাণ চাঁদার নিচে নামা যাবে না। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদান করিতে পারিবেন।

৯.২ আজীবন সদস্য:

যেকোন দানশীল ও সমাজ সেবী ব্যক্তি সংস্থার কল্যাণে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এবং গঠনতন্ত্র মানিয়া সদস্য ভর্তি ফি ১০০/- (একশত) টাকা ও এককালীন কমপক্ষে ২০,০০০/- (কুঁড়ি হাজার) টাকা বা তৎসম পরিমাণ অর্থ/সম্পদ প্রদান করিবেন, কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে তাহাকে/তাহাদিগকে আজীবন সদস্য পদ দান করা যাইবে। আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদানের অধিকার ছাড়া সকল কাজে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।

৯.৩ দাতা সদস্য:

সংগঠনের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রসারের জন্য সদস্য ভর্তি ফি ১০০/- (একশত) টাকা ও কমপক্ষে বার্ষিক ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা বা সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে দাতা সদস্যপদে অন্তর্ভূক্ত হতে পারিবেন। দাতা সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদানের অধিকার ছাড়া সকল কাজে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।

৯.৪ সাধারণ সদস্য:

দেশের যেকোন এলাকার যে সকল ব্যক্তি অত্র সংগঠনের কল্যাণে কাজ করিতে উৎসাহিত হইয়া এবং গঠণতন্ত্র মানিয়া নিয়মিত বার্ষিক ও অন্যান্য চাঁদা প্রদান করিবেন এবং নির্ধারিত আবেদন করিবেন তিনি/তাহাকে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সাধারণ সদস্য হিসেবে গণ্য করা হইবে। সাধারণ সদস্য ভর্তি ফি ১০০/- (একশত) টাকা ও বার্ষিক চাঁদা ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা। সাধারণ সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ও ভোটদানে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।

কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ভর্তি ফি ও সকল চাঁদার হার হ্রাস/বৃদ্ধি করা যাইবে।

[  ] অনুচ্ছেদ – ১০
[  ]  সদস্য পদ বাতিলঃ

ক) কোন সদস্য একাধারে ০২ (দুই) বছরের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ না করিলে।

খ) প্রতিষ্ঠানের কাজে পর পর ৬ (ছয়) মাস নিষ্ক্রিয় ও অকর্মন্য হয়ে পড়লে।

গ) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র  কিংবা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ প্রমাণিত হলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।
ঘ) সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।

ঙ) সকল ক্ষেত্রেই কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতি/ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

চ)কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে এবং তা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে।

ছ)মৃত্যু হলে বা আদালতে নৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হলে।

জ) প্রাসঙ্গিক বা অনিবার্য  কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের কার্যনির্বাহী এবং উপদেষ্টা পরিষদ সংরক্ষণ করবেন।

ঝ) গ্রহণযোগ্য কারন ছাড়া পর পর ৩টি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত না থাকলে।

ঞ)সংস্থার মূল্যবান রেকর্ডপত্র স্বেচ্ছাচারীভাবে কুক্ষিগত করে সংস্থার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে।

ট) সদস্যের স্বভাব, আচরন, মনোবৃত্তি ও কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী হলে।

ঠ)পাগল ও উম্মাদ প্রমানিত হলে।

ড)আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হলে।

ঢ)  মস্তিষ্ক বিকৃতি ও নৈতিক স্খলনের কারনে ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দন্ডিত হলে।

ণ) সদস্যের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে।

ত)তহবিল তছরুপ করলে এবং অবৈধ চাঁদাবাজি করলে।

ত)গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করলে এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারী হলে।

দ) সংস্থার পক্ষ হয়ে সংস্থার বিষয়ে কোন সদস্য পত্র-পত্রিকায়, সভা-সমিতি, সেমিনারে বিবৃতি প্রদানের পূর্বে কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতি গ্রহন না করলে।

ধ) সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলে।

ন) সংস্থার নামে কোন সদস্য গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ও অবৈধভাবে চাঁদাবাজি ও জনগণের কাছ থেকে ডোনেশন/ অনুদান গ্রহন করলে।

প) সংস্থার কার্য এলাকা পরিত্যাগ করলে।

 

[  ] অনুচ্ছেদ-১১
[  ] পদ হতে ইস্তফাঃ

ক)কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য অথবা যে কোন সাধারন সদস্যও ইস্তফা দিলে অবশ্যই তার কারণ উল্লেখ করে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের বরাবর পেশ করতে হবে।

খ) সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতি ক্রমে সদস্যের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ কিংবা বাতিল করতে পারবেন। অবশ্য উপদেষ্টা পরিষদের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটলে উপদেষ্টা পরিষদ নিজেই তার সমাধান করবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-১২
[  ] সদস্যদের অধিকারঃ

ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণের ভোটাধিকার সংরক্ষিত থাকবে এবং সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত প্রদানের অধিকারও সংরক্ষিত থাকবে।

খ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক সাধারন সদস্যগণের মধ্য থেকে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন করা হবে।
গ)সংস্থার উন্নয়ন ও সমাজ উন্নয়নে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ মতামত ও সুপারিশ পেশ করবেন বা মতামত প্রকাশ করবেন।
ঘ)প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অনুমোদন করবেন :
১. গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিবর্ধন/পরিমার্জন ও সংযোজন।
২. বার্ষিক হিসাব প্রতিবেদন।
৩. বার্ষিক হিসাব ও বাজেট।
৪. কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন।
৫. ভোটাধিকার প্রয়োগ করা।

[  ] অনুচ্ছেদ – ১৩
[  ]  শূণ্য পদ পূরণ ও সদস্য পদ পুনঃবহালঃ

(ক) শূণ্য পদ পূরণঃ কার্যনির্বাহী পরিষদ/সাধারণ পরিষদ/উপদেষ্টা পরিষদ এর কোন সদস্যপদ শূণ্য হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে শূণ্য পদ পূরণ করা হইবে।

(খ) সদস্য পদ পুনঃবহাল: সদস্য পদ পদ বাতিল হইয়াছে এমন সদস্য যদি পুনরায় সদস্য পদ পাইতে চায় তাহাকে সংগঠনের সমস্ত বকেয়া চাঁদা পরিশোধ এবং ভবিষ্যতে আর কোন অপরাধ করিবেন না মর্মে অঙ্গীকার নামা দিয়ে সভাপতি বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করিতে হইবে। আবেদন পত্র কার্যকরী পরিষদ এর সভায় গৃহীত হইলে পুনঃ সদস্য পদ লাভ করতে পারিবেন।

৪র্থ ভাগঃ সাংগঠনিক কাঠামো

[  ] অনুচ্ছেদ – ১৪
[  ]  সাংগঠনিক কাঠামোঃ

অত্র সংস্থার কার্যক্রম ও সুষ্ঠু ও সুন্দরভবে পরিচালনার জন্য ০৩ (তিন) টি পরিষদ থাকিবে। যথা

(ক) সাধারণ পরিষদ,
(খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ,
(গ) উপদেষ্টা পরিষদ,

(ক) সাধারণ পরিষদ গঠন, দায়িত্ব ও ক্ষমতা:

প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অগ্রাধিকারের  ভিত্তিতে সকল সদস্যদের সমন্বয়ে এই পরিষদ গঠিত হইবে। এই পরিষদ হইবে সংগঠনের মেরুদন্ড এবং ক্ষমতার প্রধান। এই পরিষদ গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রতি ০৩ (তিন)  বৎসরের জন্য কার্যকরী পরিষদ গঠন করিবেন। গঠিত কার্যকরী পরিষদ এর উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কিনা তাহা তদারক করিবেন। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইলে এই পরিষদ গঠনতন্ত্র মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব, বাজেট, গঠনতন্ত্রের যেকোন সংশোধনী এবং কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করিবেন।

(খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, গঠন, দায়িত্ব ও ক্ষমতা:

সংস্থার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবার জন্য সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ০৩ (তিন) বৎসর মেয়াদকালের জন্য গঠিত ২১(একুশ) সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবেন। সদস্য ভর্তি অনুমোদন, উপযুক্ত কারণে বহিস্কার, পুন: সদস্য পদ প্রদান, সংস্থার আয় ব্যয় এর হিসাব রক্ষনাবেক্ষণ এবং সংস্থা গঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করিবেন। বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, বার্ষিক অডিট প্রদান, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, সরকারী-বেসরকারী যোগাযোগ সহ লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন সহ সংস্থা গঠনের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করিবেন।

(গ) উপদেষ্টা পরিষদ:

যাহাদের জ্ঞান, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করিবে, কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনায় সহায়ক হবে, সংস্থার ভিতরে কোন কোন সময় কোন অনাকাংখিত ও দুঃখজনক ঘটনা সৃষ্টি হইলে যাহাদের পরামর্শ কাজে লাগিবে ও সকলে মানিয়া নিবে, এমন সর্বজন গ্রহণযোগ্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়া কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়া উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা যাইবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কোন ক্রমেই কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তার সংখ্যার অধিক হইবে না। এই পরিষদের সদস্যবৃন্দ নির্বাচন কমিশন হিসেবে কাজ করিতে পারিবে।

[  ] অনুচ্ছেদ ১৫
[  ] কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামোঃ

১. সভাপতি- ১ জন

২. সহ-সভাপতি- ২ জন

৩. সাধারণ সম্পাদক – ১ জন

৪. সহ-সাধারন সম্পাদক- ২ জন

৫. সাংগঠনিক সম্পাদক- ১ জন

৬.     সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- ১জন

৭. অর্থ সম্পাদক- ১ জন

৮.     সহ-অর্থ সম্পাদক- ১ জন

৯. দপ্তর সম্পাদক- ১ জন

১০.   সহ-দপ্তর সম্পাদক- ১ জন

১১.   প্রচার, প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক- ১

১২.   শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা- ১ জন

১৩.    আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক- ১ জন

১৪.    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক -১জন

১৫.কার্য নির্বাহী সদস্য-  ৬ জন

মোট- ২১ জন

[  ] অনুচ্ছেদ – ১৬
[  ] কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতাঃ

১৬.০১. সভাপতির দায়িত্ব ও কতর্ব্যঃ

সভাপতি
ক) সংগঠনের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হবেন।
খ) সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
গ) সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোন প্রস্তাবই অনুমোদিত হবে না।
ঘ) সভাপতি সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।
ঙ) সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যাণে যেকোন প্রকার দায়িত্ব পালন করবেন।
চ) কোন সভায় যেকোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম-সংখ্যক ভোট পরলে সভাপতি একটি কাষ্টিং ভোট প্রদান করবেন।
ছ) বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।
জ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের করণীয় ও কার্যাবলী নির্ধারণ করবেন।
ঝ) জরুরি প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদকে নিয়ে সহ-সভাপতিদের সহযোগিতায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জন এর ক্ষমতা বহন করেন।তবে এক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদের কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি থাকতে হবে।তবে পরবর্তী সাধারণ সভায় অবশ্যই উক্ত সংশোধনীর বিষয়ে বিধি মোতাবেক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
ঞ) যদি কোন কারনে সভাপতি পদ স্থায়ীভাবে শুন্য হয় এবং সহ-সভাপতি  অনুপস্থিত থাকে তাহলে কার্যকরী পরিষদ তার সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িক/অর্ন্তবর্তীকালিন সভাপতি নির্বাচিত করে যথাশ্রীঘ্রই সম্ভব সাধারন পরিষদের সদস্যদের পরামর্শক্রমে সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করিবেন।

১৫.০২: সহ সভাপতি:

সহ-সভাপতি

ক) সংগঠনের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
খ) সভাপতির সকল কাজে সহযোগিতা করবেন।
গ) সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
ঘ) সভাপতির মতই গঠনতন্ত্র অনুসারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
ঙ) সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জনে সহায়তা করবেন।
চ) ইহা ছাড়াও সভাপতি এর পরামর্শক্রমে সংগঠনের দৈনন্দিন অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন।

১৫.০৩: সাধারণ সম্পাদকঃ

ক) সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে কাজ করবেন।

খ) সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।

গ) সভাপতি এর পরামর্শ অনুযায়ী সভা আহবানের নোটিশজারী করিবেন।

ঘ) তিনি বার্ষিক সাধারণ সভায় অর্থ সম্পাদকের সহোযোগিতায় সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট, বার্ষিক বাজেট, বার্ষিক আয়-ব্যয় হিসাব ও বার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন।

ঙ) তিনি সংগঠনের পক্ষে বিভিন্ন চুক্তিপত্র সম্পাদন করিবেন এবং সংগঠনের পক্ষে প্রয়োজন হইলে সভাপতি এর অনুমতিক্রমে প্রতিধিত্ব করিবেন।

চ) সংগঠনের কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়ন এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সাথে সমন্বয় সাধন করবেন।

ছ) সংগঠনের সকল প্রকার চিঠিপত্র,কাগজপত্র, তথ্য ও দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।

জ) সুষ্ঠু প্রশাসন ব্যবস্থার স্বার্থে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খন্ডকালীন কর্মচারী নিয়োগ,কর্মচুক্তি ও ছাটাইয়ের চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হবেন।তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ঝ) সকল ধরণের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করবেন।

ঞ) সংগঠনের সার্বিক সকল নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন।

ট) তিনি ক্যাশ বহিতে প্রতি স্বাক্ষর করিবেন ও খরচের ভাউচার পাশ করিবেন।

ঠ) সভাপতির সাথে আলোচনা করে সভা আহ্বানের দিন ,তারিখ,সময় ও স্থান নির্ধারণসহ আলোচ্যসূচী উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।

ড) অন্যান্য সদস্যদের কার্যক্রম তদারকী করিবেন।

ঢ) সর্বোপরি তিনি সংস্থার কল্যাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখিবেন। বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।

ণ) তাহার যাবতীয় কাজকর্মের জন্য কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবেন।

১৫.০৪: সহ-সাধারণ সম্পাদকঃ

সহ-সাধারণ সম্পাদক

ক) সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা প্রদান করবেন।
খ) সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে প্রদেয় দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৫.০৫: সাংগঠনিক সম্পাদকঃ

ক) সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
খ) সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনাপূর্বক করণীয় নির্ধারণ করবেন।
গ) সংগঠনের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি বা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ নির্ণয় এবং সমস্যাসমূহ দেখে সংগঠনের স্বার্থে সবাইকে তা অবহিত করবেন।
ঘ) সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।
ঙ) সংগঠন কোন হুমকির শিকার হলে সেটি সভাপতিকে অবগত করবেন।
চ) সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।
ছ) সাংগঠনিক সম্পাদক সদস্যপদ বাড়ানো, শাখা সংগঠনসহ সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জ) গঠিত শাখাসমূহের অনুমোদনের জন্য নির্বাহী পরিষদের সভায় উত্থাপন করবেন।
ঝ) সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাহী পরিষদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে তাদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন।

১৫.০৬ঃ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক

ক) সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজ।
খ) সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৫.০৭. অর্থ সম্পাদক:

ক) অর্থ সম্পাদক সংগঠনের অর্থ বিভাগের প্রধান।
খ) সংগঠনের সদস্যদের হতে মাসিক ফি সংগ্রহ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ হতে অনুদান গ্রহণ তার দায়িত্ব।
গ) তিনি সংগঠনের অর্থের ভবিষ্যৎ উৎস চিহ্নিত করে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন।
ঘ) বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট করবেন এবং অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সভায় পেশ করবেন।
ঙ) সংগঠনের সকল প্রকার আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
চ) সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
ছ) সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক সাধারণভাবে দায়ী থাকবেন।
জ) সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা,সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা অর্থ সম্পাদকের মূল কাজ।
ঝ) তিনি ক্যাশ বহি লিপিবদ্ধ করিবেন এবং স্বাক্ষর করিবেন।
ঞ) আদায়কৃত অর্থ আদায়ের পরবর্তী ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে সংগঠনের ব্যাংক একাউন্টে জমা করিবেন।
ট) বার্ষিক অডিট সম্পাদন করাইবেন।
ঠ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর পরামর্শে অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।
ড) ডেবিট ক্রেডিট ভাউচার ছাড়া কোন প্রকার লেনদেন করতে পারবে না,সকল ভাউচারে সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক।
ঢ) তাহার যাবতীয় কাজকর্মের জন্য কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবেন।

১৫.০৮. সহ-অর্থ সম্পাদক

ক) অর্থ সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজ।
খ) অর্থ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৬.০৯. দপ্তর সম্পাদক

১। সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন।
২। সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন।
৩। সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন বা সদস্যদের জ্ঞাত করবেন।
৪। সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।

১৬.১০. সহ-দপ্তর সম্পাদকঃ

ক) দপ্তর সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-দপ্তর সম্পাদকের কাজ।
খ) দপ্তর সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৬.১১.প্রচার, প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদকঃ

ক) সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।
খ) সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।
গ) সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব কার্যনির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
ঘ) প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
ঙ) সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় সর্বত্র প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।
চ) বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারণার দায়িত্বও তার অধীনে।
ছ) সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব। সংগঠনের স্বার্থে প্রকাশনা তার দায়িত্বে থাকবে।

১৬.১২.শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকাঃ

মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক

ক) দুস্থ,নিরক্ষর,অসহায়,নির্যাতিত মহিলাদের সংগঠিত করবেন এবং তাদের সম্পর্কে পরিষদকে অবহিত করবেন।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মহিলা বিষয়ক গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত থাকবে।
গ) নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।

১৬.১৩. আইন ও মানবাধিকার সম্পাদকঃ

১। সংগঠনের আইন বিভাগ পরিচালনা করবেন।
২। সংগঠনের সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মেনে চলছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। সংগঠন কোন আইনসংক্রান্ত নোটিশ পেলে তা সভাপতিকে অবহিত করবেন।

১৬.১৪. কার্য নির্বাহী সদস্যঃ

সকল কার্যক্রমের খেয়াল রাখবে ও সহযোগিতা করবে
১৬.১৫.
১। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সম্পর্কে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।
২। আন্তর্জাতিক সংগঠন সম্পর্কে জ্ঞান রাখবেন এবং এর কাজের ধারা কার্যনির্বাহী পরিষদকে অবগত করবেন।
৩। সংগঠনে প্রবাসীদের ভূমিকা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
১৬.১৬.অন্যান্যঃ

ক) সংগঠনের সকল সদস্যের বিপদ-আপদে সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদসহ সবাই পাশে থাকার চেষ্টা করবে।
খ) সংগঠনের সকল সদস্য সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
গ) কার্যনির্বাহী পরিষদসহ সকল সদস্যের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।
ঘ) কোন অভিযোগ, কোন অনুযোগ, পরামর্শের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
ঙ) সকল সদস্যকে সময়মত মাসিক ফি প্রদান করতে হবে।
চ) সদস্যদের মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকা যাবে না,যা সংগঠনে বিরূপ প্রভাব

[  ] অনুচ্ছেদ – ১৭
[  ] উপ কমিটি গঠনঃ

অত্র সংগঠনের কোন অনুষ্ঠান, বিশেষ কাজ বা উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়া কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যদের সমন্বয়ে এক বা একাধিক উপ কমিটি গঠন করিয়া সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করিবেন। যে বিষয়ে কমিটি গঠন করা হইল সেই কাজ শেষ হইলে উপ কমিটি বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। উপ কমিটি তাহার যাবতীয় কাজের জন্য কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবেন।

[  ] অনুচ্ছেদ -১৮
[  ] এডহক কমিটিঃ

কোন কারণে যথাসময়ে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন করা সম্ভাব না হইলে সাধারণ পরিষদ সভায় ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করা হইবে। কমিটিতে একজন আহ্বায়ক, একজন সদস্য সচিব ও একজন সদস্য থাকিবেন। আহ্বায়ক এই কমিটির প্রধান থাকিবেন। এই কমিটি নির্বাচন সংক্রান্ত বিধির যাবতীয় বিষয় অনুসরণ করিয়া পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব, সমর্থন বা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নতুন পরিষদ গঠন করিয়া পরবর্তী ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে নির্বাচিত পরিষদের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করিবে। উল্লেখ্য যে, এডহক কমিটির কোন সদস্যই কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রার্থী হইতে পারিবে না।

[  ] অনুচ্ছেদ -১৯
[  ] নিয়োগ পদ্ধতিঃ

অত্র সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রশিক্ষক নিয়োগ করার প্রয়োজন হইলে কার্যকরী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়ে ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করিয়া কর্মচারী নিয়োগ করিবেন। নিয়োগ কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে সদস্য সচিব থাকিবেন। নিয়োগ কমিটি প্রয়োজনীয় ইন্টারভিউর মাধ্যমে যাচাই বাছাই করিয়া কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত করিবেন। নিয়োগ কমিটি নিয়োগ বিধি ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রণয়ন করিবেন এবং বেতন ভাতা নির্ধারণ করিবেন। নিয়োগ কমিটির রূপরেখা নিম্মরূপ-

১। সভাপতি ২। সাধারণ সম্পাদক,৩। অর্থ সম্পাদক এবং ০২ জন কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য নিয়ে নিয়োগ কমিঠি গঠিত হইবে।

৫ম ভাগঃ আর্থিক ব্যবস্থাপনা

[  ] অনুচ্ছেদ-২০
[  ] সংগঠনের তহবিল সংক্রান্ত বিষয়াবলীঃ

নিম্নলিখিত ভাবে সংস্থার তহবিল সংগ্রহ করা যাবে:
ক) সদস্য ভর্তি ফি।
খ) সদস্য চাঁদা।
গ) এককালীন সদস্য চাঁদা।
ঘ) এককালীন অনুদান ও কোন প্রকল্প হইতে আয় এবং ব্যাংক, সংস্থা, ফাউন্ডেশন ও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে তহবিল গঠন।
ঙ)কোন বিশেষ ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের অনুদান।
চ) সরকারী অনুদান।
ছ)  সরকারের বিশেষ প্রকল্প অনুদান/ ঋণগ্রহণ।
জ) যে কোন কাজে বিদেশী দান, অনুদান এবং বিদেশী এম্বেসীর দান, অনুদান ইত্যাদি।

[  ] অনুচ্ছেদ-২১
[  ] আর্থিক ব্যবস্থাপনাঃ

ক)    সংস্থার আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকাস্থ বা দেশের যে কোন সিডিউল ব্যাংকে সংস্থার নামে একটি সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাব খুলতে হবে।
খ) উক্ত সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাব নম্বর সংস্থার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদক  এই তিন জনের মধ্যে যে কোন ২ জনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।
গ)  সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে অর্থ সম্পাদক  চলমান খরচ নির্বাহের জন্য ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা হস্তমজুদ রাখতে পারবেন। হস্তমজুদের টাকা শুধুমাত্র সংস্থার আদর্শ ও উদ্দেশ্য অর্জনে এবং কর্মসূচী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কল্যাণমুখী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অসহায়দের কাজে খরচ করা যাবে।
ঙ) সংস্থার প্রয়োজনীয় অর্থ খরচের পূর্বে উত্তোলনের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
চ) সংস্থার নামে সংগৃহিত অর্থ কোন অবস্থাতে হাতে রাখা যাবে না। সংগৃহিত অর্থ প্রাপ্তির পর যথাশীঘ্র সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিয়ে জমার রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
ছ) সকল ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
জ) যথাযোগ্য রশিদ ছাড়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতীত অত্র সংগঠনের নামে কোন চাঁদা গ্রহন করা যাবে না।উপদেষ্টা এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রশিদ বই, ক্যাশ বই,মজুদ রেজিস্টার,বিতরণ রেজিস্টার,জমাখরচ রেজিস্টার,বিল ভাউচার সহ আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

[  ] অনুচ্ছেদ -২২
[  ] বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান বিষয়কঃ

সংস্থাটির বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে ১৯৭৮ সালের ফরেন ডোনেশন অধ্যাদেশের বিধি বিধান প্রতিফন গঠিবে। বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান গ্রহণের পর যে কোন একটি সিডিউল ব্যাংকে পৃথক একটি হিসাব পরিচালনা করবে।

[  ] অনুচ্ছেদ – ২৩
[  ]  ঋণ পরিশোধঃ

সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন ব্যাংক, অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য উৎস থেকে গ্রহনকৃত ঋণ পরিশোধ এর দায়দায়িত্ব সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ বহন করবে।

[  ] অনুচ্ছেদ – ২৪
[  ]   অডিটঃ

ক)   প্রতি ১ বৎসর পর পর সংস্থার সকল আয় ও ব্যয় উপদেষ্টা পরিষদের  নিকট দাখিল করিতে হবে।
খ) উপদেষ্টা পরিষদ সংস্থার আয় ব্যয় নিরীক্ষার জন্য একটি অভ্যান্তরীন নিরীক্ষা কমিটি গঠন করবেন। সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদ সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নিরীক্ষা কমিটি গঠন করবে। প্রতি আর্থিক বছরে অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা কমিটি সংস্থার আয় ব্যয় নিরীক্ষা করবে। প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদ অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা কমিটির সদস্য রদবদল করতে পারবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-২৫
[  ] বিবিধঃ

নির্বাহী পরিষদের বিবেচনায় সংগঠনের কর্মকান্ড পরিচালনায় সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের জন্য কোন সদস্য/কর্মকর্তা দেওয়ানী/ফৌজদারী মোকদ্দমার সম্মুখীন হলে সংগঠন তাকে আর্থিক সহায়তা সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবে।

 

৬ষ্ঠ ভাগঃ সভা ও নির্বাচন

[  ] অনুচ্ছেদ-২৬
[  ] বিভিন্ন প্রকার সভা ও সভার নিয়মাবলীঃ
ক)    সাধারণ সভা।
খ)    কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা।
গ)    জরুরী সভা।
ঘ)    বিশেষ সাধারণ সভা।
ঙ)    মূলতবী সভা।
চ)    তলবী সভা।

ক) সাধারণ সভা :
কমপক্ষে বছরে একবার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং উহা বার্ষিক সাধারণ সভা রূপে গন্য হবে। তবে বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ সাধারণ সভাও আহবান করা যাবে। সাধারণ সভায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুমোদন লাভ করবে। সাধারণ সভা ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে আহবান করা হবে।
১।    প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন।
২।    বার্ষিক বাজেট ও হিসাব।
৩।    বার্ষিক সাধারন সভায় সংস্থার আয় ব্যয়ের অভ্যন্তরীণ অডিটের জন্য অডিটর মনোনয়ন করা।
৪।    সংস্থার গঠনতন্ত্রের ধারা, উপ-ধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংযোজন।
৫।    সভার সিদ্ধান্ত মোট সদস্যের নূন্যতম ১/৩ অংশের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।

খ) কার্যর্নির্বাহী পরিষদের সভা :
১।    বৎসরে কমপক্ষে কার্য্যনির্বাহী পরিষদের ৬টি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২।    নূন্যতম ৩ দিন পূর্বে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখপূর্বক সভার নোটিশ জারী করিতে হবে। নূন্যতম ১/২  অংশ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।

গ) জরুরী সভাঃ
জরুরী সভা ৩ (তিন) দিনের নোটিশে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে আহবান করা যাবে। মোট সদস্যদের নূন্যতম   (দুই তৃতীয়াংশে) এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।

ঘ) বিশেষ সাধারণ সভাঃ

যে কোন বিশেষ কারণে সাধারণ সভা ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নোটিশে আহবান করা যাবে। তবে এ সভায় বিশেষ এজেন্ডা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশেষ এজেন্ডার উদ্দেশ্য লিপিবদ্ধ করে যথারীতি নোটিশ প্রদান করতে হবে। মোট সদস্যের নূন্যতম   (দুই তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।

ঙ) মূলতবী সভাঃ

১।    কোরামের অভাবে মূলতবী সাধারণ সভা মূলতবীর তারিখ থেকে পরবর্তী ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে  সম্পন্ন করতে হবে। মূলতবী সভার তারিখ হতে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নোটিশ জারী করতে হবে। অনুষ্ঠিত সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত মোট সাধারণ পরিষদ সদস্যদের নূন্যতম   (দুই তৃতীয়াংশ) এর সিদ্ধান্তক্রমে চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।
২।    কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ৩ (তিন) দিনের নোটিশে কোরামের অভাবে মূলতবী হলে দ্বিতীয়বার ৩ (তিন) দিনের নোটিশে অনুষ্টিত সভার কোরাম পূর্ণ না হলেও যত জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন তাদের নিয়েই মূলতবী সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সভার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।

চ) তলবী সভাঃ
১।    গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক সংস্থার সভা আহবান না করলে কমপক্ষে মোট সদস্যদের নূন্যতম   (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য- একজন আহবায়ক মনোনীত করে বিশেষ সাধারণ সভার কর্মসূচীর এজেন্ডা বা উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে স্বাক্ষর দান করতঃ তলবী সভার আবেদন সংস্থার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে পারবেন।
২।    সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক তলবী সভার আবেদন প্রাপ্তির ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে তলবী সভার আহবান করবেন। তলবী সভার আবেদন প্রাপ্তির ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক তলবী সভা আহবান না করলে ২১ (একুশ) দিনের মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে সাধারন সদস্যগন আহবায়কের নের্তৃত্বে তলবী সভা আহবান করতে পারবেন। মোট সদস্যের   (দুই তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে। তলবী সভা সংস্থার কার্যালয়ে আহবান করতে হবে।
অন্যান্য অনুষ্ঠানাদিঃ
সম্ভব হলে বছরে একটি বনভোজন,সম্মেলন,মিলনমেলা, নবীন বরণ, ইফতার পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে পারস্পরিক পরিচিতি, সৌহার্দ্যবোধ,বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিই অনুষ্ঠানাদির মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-২৭
[  ] নির্বাচন পদ্ধতি

ক)    কার্যনির্বাহী পরিষদ :  সাধারণ সদস্যবৃন্দের প্রস্তাবনা, সমর্থন ও গোপন ব্যালটের মাধ্যমে/অনলাইনে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত হবে।সদস্যবৃন্দের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে।অতঃপর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।
খ)   মেয়াদ : নির্বাচিত বা মনোনীত হওয়ার দিন হতে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদ পর্যন্ত কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল বলবৎ থাকবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-২৮
[  ] নির্বাচন কমিশন

সংস্থার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন না বা সংস্থার সদস্য নন এমন ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে ১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ২ জনকে সদস্য করে উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।  নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-২৯
[  ] ভোটের প্রনালীঃ
এক ব্যক্তি একটি পদে একটি করে ভোট প্রদান করবেন এবং কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে না। নির্বাচনের ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন। নির্বাচন বিষয়ে কমিশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-৩০
[  ] বিবিধঃ
(ক) যেকোনো সাধারণ সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবে।

(খ) একজন সদস্য একই সাথে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন পেতে পারবে। তবে যদি দুটি পদেই একই ব্যাক্তি জয়লাভ করে তবে, উক্ত ব্যক্তির পছন্দের পদটি তাকে দেয়া হবে। এবং অন্য পদের জন্য দ্বিতীয় ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত হয়ে যাবে।

(গ) কোনো পদের বিপরীতে একের অধিক প্রার্থী না পাওয়া গেলে তিনিই বিনা ভোটে নির্বাচিত হবে, কিন্তু সাধারণ পরিষদ চাইলে যে কোনো সদস্যকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবে। এবং ঐ সদস্য তা মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।
(ঘ)কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ হবে ২(দুই) বছর।তবে অনিবার্য কারণে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব না হলে উপদেষ্টা পরিষদ কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন অথবা অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করতে পারবেন তবে উক্ত কমিটির মেয়াদ ৬(ছয়) মাসের বেশি হবেনা।যদি এরপরও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব না হয় তবে উপদেষ্টা পরিষদ কার্যকরী যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।

৭ম ভাগঃ গঠনতন্ত্র সংশোধন,আইনের প্রাধান্য এবং সংগঠনের বিলুপ্তি

[  ] অনুচ্ছেদ-৩১
[  ] গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিমার্জন এবং সংযোজনঃ

(ক) গঠনতন্ত্রে বর্ণিত কোনো অনুচ্ছেদ/ধারা বা উপ অনুচ্ছেদ/উপ বিধি সংশোধন,  সংক্ষেপণ অথবা পরিমার্জনের জন্য  উপদেষ্টা পরিষদ কারণ দর্শানো সাপেক্ষে  সদস্যদের হ্যাঁ /না ভোট গ্রহণ করবেন।সাধারণ সভায় মোট সদস্যের নূন্যতম (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে/ সমর্থনের মাধ্যমে তা গৃহীত হবে।
(খ) বিশেষ পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠনতন্ত্রের কোনো অনুচ্ছেদ/ধারা অস্থায়ী ভাবে সংশোধন ও সংযোজন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন।

[  ] অনুচ্ছেদ-৩২
[  ] বিধি ও আইনের প্রাধান্যঃ
অত্র গঠনতন্ত্রের যা-কিছু উল্লেখ থাকুক না কেন উক্ত সংস্থাটি ১৯৬১ সনের ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদনক্রমে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

[  ] অনুচ্ছেদ-৩৩
[  ] সংস্থার বিলুপ্তিঃ
যদি কোন অনিবার্য কারণে সংস্থার বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠে তবে সংস্থার সকল দায়দেনা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক পরিশোধ করে মোট সদস্যের নূন্যতম  ৩/৫  (তিন পঞ্চামাংশ) সাধারণ সদস্যের সিদ্ধান্তক্রমে সংস্থার বিলুপ্তি করা যাবে।